আল মিরাজ, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলীতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাহিন্দ্রা লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সবাই মাহিন্দ্রার যাত্রী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহ¯পতিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে আমতলীর মানিকঝুড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে আমতলীর তারিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছালমা বেগম (৪০), বরগুনার তালতলী উপজেলার বগী এলাকার চাঁন মিয়া (৪৮), শানু মৃধা (৪০), মাহিন্দ্রার চালক হানিফ হাং (৪০) এবং জসিম মৃধার (৪০) নাম জানা গেছে। নিহত এক শিশুসহ অপর আরেকজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফাহিমা (৪০), হানিফের (৩৫) নাম জানা গেলেও তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। মাহেন্দ্রটি বরগুনার আমতলী থেকে ছেড়ে তালতলীর বাজারে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আল্লাহ ভরসা পরিবহনের (পটুয়াখালী গ-১১-০০৩০) একটি বাস কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল। পথে আমতলীর মানিকজুড়ি এলাকায় আমতলী থেকে তালতলির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি থ্রি-হুইলারের সঙ্গে এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই থ্রি-হুইলারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় দুর্ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। অন্যদের আহত অবস্থায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে আরও দুইজন মারা যান। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে অবস্থা গুরুতর দেখে থ্রি-হুইলারের চালক হানিফকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে তাকে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে একটি শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছে, যাদের নাম-পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুয়াকাটা থেকে বরিশালগামী আল্লাহ ভরসা পরিবহনের একটি বাস আমতলীর মানিকঝুড়ি এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাহেন্দ্রর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মহেন্দ্রের ছয় যাত্রী নিহত এবং হাসপতালে নেয়ার পর আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়। আরো তিন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে বাসটি আটক করেছি। বাসের ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে গেছে। এখনও দুটি মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আমরা তাদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’ দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply